মো: আবদুল কাদের:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মার্চ্চেন্টস একাডেমী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হলেও এখানে শিক্ষার্থীরা সরকারী কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ জানিয়েছে। বরং অন্যান্য স্কুলের চাইতে এখানে বেতন বেশী নেওয়া হচ্ছে। পাশ্ববর্তী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির বেতন এক শত পঞ্চাশ টাকা হলেও এখানে বেতন দুইশত টাকা, দশম শ্রেণির দুইশত পঞ্চাশ টাকা।
অথচ সরকারি স্কুল হিসেবে বেতন হওয়ার কথা ছিল পনের টাকা। করোনাকালীন সময়ে অন্যান্য স্কুলে শিক্ষার্থীদের বেতন ছাড় দিলেও, এখানে ছাড় না দিয়ে জোর করে সম্পুর্ন বেতন আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। এখানে সেশন ফি ও অন্যান্য স্কুলের ন্যায় এক হাজার টাকা।
রায়পুরের একজন অভিভাবক বলেন, স্কুল সরকারি হয়ে জনগনের কোন লাভ হয়নি। অন্য আরেকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি স্কুলের সভাপতি ইউএনও হওয়ার পরও সাবেক সভাপতির আইন মানা হচ্ছে। এটা কি খাম খেয়ালীপনা, নাকি সরকারের বদনাম করার অপকৌশল।
এ ব্যাপারে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মামুন সাহেব ৮ বছর আগে যেভাবে করে গেছেন, আমরা সেভাবেই নিচ্ছি, যদিও সরকারী হিসেবে এখন বারো থেকে পনের টাকা বেতন নেয়ার কথা, সরকারী আত্মীকরন চুড়ান্ত না হওয়ায় আমরা সেভাবে নিতে পারছিনা। ডিজির মৌখিক নির্দেশে আমরা আগের নিয়মে বেতন-ফি নিচ্ছি।
Post Views:
২৩৯