সাকিব আল হাসান
রৌমারী(কুড়িগ্রাম):
মাত্র তিন মাসে গোটা রৌমারী উপজেলাকে মাদক মুক্ত করতে সক্ষম হোন কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলম রৌমারী থানায় আসার আগে গোটা রৌমারী ছিলো মাদকে ভরপুর। প্রকাশ্যই বিক্রি হতো মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন সহ দেশী বিদেশী মাদক। যুব সমাজ ধব্বংশের ধার প্রান্তে যখন তখন রৌমারী থানার ওসি হিসাবে যোগদান করেন টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান জাহাঙ্গীর আলম। যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে মোটকথা যুদ্ধ ঘোষনা করেন। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করায় একটি কুচক্রী মহল ওসির বিরোধিতা করা শুরু করে। কারন ওই মহল ভাল করে জানে মাদক মুক্ত হলে কেমনে চলবে তাদের মাদকের ব্যবসা। কিছু দালাল আর চামচাদের নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জেপির এমপি রুহুল আমিন। সর্বশেষ গত ২৬ ই মে নামে মাত্র একটা অনলাইন পোর্টালে সংবাদটি প্রকাশ করে ভাইরাল করার চেষ্টা করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিংকটি দেখার পর ওই ভুয়া নিউজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অনেকে। সাবেক ২ নং শৌলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিনু লেখেছেন, ওসি সাহেব কে যতটুকু জানি বা চিনেছি তার মনে হয় এতো টাকার প্রয়োজন নাই যে মাদক ব্যবসাও করতে হবে। মাদক নির্মূলে তার যে ভুমিকা তা রৌমারীর জন্য স্মরণীয় পদক্ষেপ।যা আর কোন সময়েই হয়নি।রৌমারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুনর রশীদ লেখেছেন, যে মাদক বিরোধী অভিযান চালায় সেই হয় মাদক ব্যাবসায়ী – হায়রে কপাল -সুষ্ঠ তদন্ত কামনা করছি। মমিনুল ইসলাম লেখেছেন, দুনিয়াতে ভাল মানুষের ভাত নাই। নুরউদ্দীন নুর নামের এক কলেজ ছাত্র লেখেছেন, কথায় আছে,,যে করে চক্ষু দান তারেই করে অপমান। এব্যাপারে ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাকে সরানোর জন্য একটা মহল চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি থাকলে তারা তো মাদক ব্যবসা করতে পারেনা তাই আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে।
Post Views:
৩,৯০৯